ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুট: ভাটা হলেই যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :: কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী ও মহেশখালী জেটি এলাকায় কয়েক দফা ড্রেজিংয়ের পরও সুফল পাচ্ছেন না যাত্রীরা। ভাটা হলেই চরম দুর্ভোগ পড়ছেন কক্সবাজার-মহেশখালী নৌ-রুটের যাত্রীরা। বাঁকখালী নদীর রামু-ঝিলংজা ড্রেজিং করলে পৌরসভা ও খুরুস্কুল অংশে ভরাট হয়ে যায়। যার ফলে কোনোভাবেই স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসছে না জেটি এলাকায়। বিআইডাব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রশিদ জানালেন ড্রেজিং কাজ চলমান থাকবে।
একদিকে ড্রেজিং অন্যদিকে ভরাট হওয়ায় জনদূর্ভোগ কমছে না বাঁকখালী নদী ও মহেশখালী জেটিতে। অপরিকল্পিতি ড্রেজিং এর কারণে পরিস্থিতি দিনদিন অবনতি হচ্ছে জানালেন এই নৌরুটের যাত্রীরা।

বিআইডাব্লিউটিএ সুত্রে জানা যায়, বাঁকখালী নদীতে দুইটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। তৎমধ্যে একটি বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অন্যটি বিআইডাব্লিউটিএ। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি বাঁকখালী নদীর ড্রেজিং প্রকল্প। এই প্রকল্পের কাজ চলমান। দুই উপজেলা রামু ও কক্সবাজার সদর এর ২১টি ইউনিয়নের ১৯ হাজার ৪শ হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে। বন্যা থেকে রক্ষা পাবে রামু সদরের ৩ লাখ মানুষ। পাশাপাশি নদী ভাঙনের হাত থেকে রেহাই পাবে অসংখ্য পরিবার। একই সাথে মহেখালী উপজেলার ৪ লাখ বাসিন্দাসহ উপকূলীয় উপজেলার লোকজন এর দূর্ভোগ অনেকাংশে কমে আসবে।

কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যাপক আবুল কালাম বলেন, নদী ড্রেজিং মানে, নদী থেকে বালু বা মাটিগুলো তুলে নিরাপদ দূরত্বে রাখা, আমরা এটাই বুঝি। কিন্তু বাঁকখালীর এই খনন কাজ দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছি। মহেশখালীর জেটিতে এলাকায়ও একই অবস্থা। ড্রেজিং করা মাটি রাখা হয় খালের পাশেই। তাই ড্রেজিং শেষ হওয়ার কিছু দিন পর পুণরায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেখলাম, নদী থেকে বালু কিংবা মাটি তুলে নদীতেই রাখা হচ্ছে। তাই আমরা এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

নিয়মিত মহেশখালী-কক্সবাজার যাতায়ত করেন মুজিবুল হাসান মুজিব জানান, দ্রুত খাল ভরাট হয়ে যাওয়াটি আমাদের জন্য বড় দূর্ভোগের কারণ। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান ছাড়া সাধারণ মানুষ দূর্ভোগ থেকে রেহাই পাবেনা। দফায় দফায় ড্রেজিং করে সরকারে অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু হচ্ছে না। ড্রেজিং করলে যেন মাটি কিংবা বালি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। ভাটা হলে যে সমস্যার সৃষ্টি হয় তা অবর্ণনীয়।

বিআইডাব্লিউটিএ এর নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) রেজাউর রশিদ জানিয়েছেন, একদিকে ড্রেজিং করলে অন্যদিকে ভরাট হচ্ছে এটি সত্য। তবে পরিকিল্পতভাবে দীর্ঘ মেয়াদী সময় নিতে গেলে পুরো খাল ও ঘাট অচল হয়ে পড়বে। তাই সবকিছু যাতে সচল থাকে সেভাবেই দফায় দফায় ড্রেজিং করা হচ্ছে। এটি চলমান থাকবে পরবর্তী প্রকল্প গ্রহণ না করা পর্যন্ত।

পাঠকের মতামত: